খুব শীঘ্রই পাল্টে যেতে চলেছে ব্যাংকের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শনি এবং রবি এই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে ব্যাংক কর্মীরা ইতিপূর্বেও বারংবার দাবি তুলেছেন, আর ব্যাংক কর্মীদের এই দাবিকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশের জনসাধারণের মধ্যে আলাপ আলোচনার অন্ত নেই। ইতিমধ্যেই ব্যাংক কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত এক নতুন আপডেট দাবি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে খুব শীঘ্রই ব্যাংক কর্মীরা শনিবার এবং রবিবার অর্থাৎ সপ্তাহে ২ দিন ছুটি পেতে চলেছেন।
বিগত দিনে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানাবিধ ব্যাংকে কর্মরত কর্মীদের তরফে শনিবার এবং রবিবার দুই দিন ছুটির দাবি তোলা হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত ব্যাংক কর্মীদের এই দাবি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো রূপ তথ্য কিংবা নির্দেশিকা প্রকাশ্যে না এলেও, আগামী দিনে খুব শীঘ্রই ব্যাংক কর্মীদের এই দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিলমোহর পড়তে চলেছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, বিগত ২৮ শে জুলাই এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ব্যাংক কর্মী ইউনিয়নগুলির তরফে, আর এই বৈঠকেই সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটির প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে ভারতের ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন:- সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় মাত্র ২৫০ টাকা বিনিয়োগ করে নিজের কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন।
ইতিমধ্যেই ব্যাংক কর্মী ইউনিয়নগুলির এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাবে অর্থ মন্ত্রকে সায় মেলেনি, তবে অর্থ মন্ত্রকের তরফে ব্যাংক কর্মীদের এই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হলে আগামী দিনে ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যাংকগুলি সপ্তাহে ৫ দিন খোলা থাকবে এবং শনিবার ও রবিবার এই ২ দিন ব্যাংক কর্মীরা ছুটি পাবেন। যদিও সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটির বদলে ব্যাংক কর্মীদের কাজের সময় ৪০ মিনিট বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে AIBA এর তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা মারফত। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালের একেবারে শুরুর দিকে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে, ব্যাংক কর্মীদের পাঁচ দিনের কর্ম সপ্তাহ এবং সাপ্তাহিক দুদিন ছুটির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে AIBA।
এই সার্কুলারে আরো জানানো হয়েছিল যে, ২ দিন ছুটির ফলে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন ব্যাংক কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত নগদ লেনদেন এবং ৪:৩০ চারটা থেকে অ-নগদ লেনদেনের মাধ্যমে কাজের সময় মোট ৪০ মিনিট বৃদ্ধি করা হবে। বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ব্যাংক কর্মীরা মনে করছেন খুব শীঘ্রই তাদের এই অনুমোদনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে সবুজ সংকেত মিলবে। এই সমস্ত সূত্রের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা সম্পন্ন করার পরই ব্যাংক কর্মীরা এই দাবি তুলেছেন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে অফিশিয়ালি কোনরুপ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আর তাতেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।