আবারো বাড়তে পারে রেলের ভাড়া, টিকিটের দাম ঘিরে বাড়ছে জল্পনা।

রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে উঠে এলো এক বিশেষ আপডেট। আর এই আপডেট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে পুনরায় নানাবিধ আলাপ আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে। তবে শুধু সাধারণ জনগণের মধ্যেই যে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নানারকম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তা নয়, বিভিন্ন সূত্রের তরফেও রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নানারকম দাবি তোলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের আওতায় ১৩০৯ টি রেল স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার অর্থাৎ আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। বিগত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ১৩০৯ টি রেলস্টেশনের মধ্যে থেকে ৫০৮ টি রেলস্টেশনকে নবীন রুপে সাজিয়ে তোলার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই উদ্যোগই সাধারণ মানুষের মনে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত আশঙ্কা জাগিয়ে তুলছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য মারফত জানা গিয়েছে যে, অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের আওতাধীন স্টেশনগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আর এই প্রকল্পের আওতাধীন রেলস্টেশনের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ টি রেলস্টেশনের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অমৃত ভারত রেলস্টেশনের আওতাধীন স্টেশনগুলিকে নতুন করে সংস্কার করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ২৫ হাজার কোটি টাকা সাধারণ জনগণের মাধ্যমেই তুলে নেওয়া হবে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সুত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে। এমনকি অনেকেই মনে করছেন, রেল স্টেশনগুলির সংস্কার করার ক্ষেত্রে যে ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে তা টিকিটের ভাড়া বাড়ানোর মাধ্যমে তুলে নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:- এবার থেকে আর একদিন নয়, শনি এবং রবি ২ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক।

যদিও এই সমস্ত প্রশ্ন এবং তর্ক-বিতর্কের উত্তর দিয়েছেন খোদ রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্পের অধীনে যে সমস্ত রেল স্টেশনগুলি সংস্কার করা হবে তার জন্য সাধারণ মানুষের থেকে আলাদাভাবে কোনরূপ অর্থ আদায় করা হবে না। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরো জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমগ্র ভারতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প কার্যকর করেছেন। আর ট্রেনে যাত্রার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতে কোনরূপ অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুতরাং এই সমস্ত স্টেশনগুলিকে সংস্কার করার কাছে যে অর্থ প্রয়োজন হবে তার কোন অংশই সাধারণ মানুষের থেকে আদায় করা হবে না। ফলত টিকিটের দাম বৃদ্ধি করার কোনোরূপ প্রসঙ্গই আসছে না।

যদিও সাধারণ মানুষের এই আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওয়াকিবহাল মহলের কর্তা ব্যক্তিরা। সংশ্লিষ্ট মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের একাংশের মতে, ইতিপূর্বেও বারংবার ভারতীয় রেলের তরফে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, এমনকি করোনা মহামারী চলাকালীন স্পেশাল টেনের ভাড়া বৃদ্ধি, এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকিটের ছাড় দেওয়া বন্ধ করার মত ঘটনাগুলি ঘটেছে। মূলত রেলের লোকসান ঠেকাতেই এই ধরনের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়েছিল, যা মোটেই পছন্দ হয়নি সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণের। আর তাতেই অমৃত ভারত রেল স্টেশন প্রকল্প নিয়েও সাধারণ জনগণ আশঙ্কায় রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Comment