বর্তমানে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্রেন। পুজোর ছুটি কিংবা গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়া থেকে শুরু করে নিত্যদিন কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানো পর্যন্ত বহু সংখ্যক মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রা করে থাকেন। যার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তের গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অথবা কোনো বিখ্যাত পর্যটন ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের যাত্রার অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস আগে টিকিট বুক করতে হয়, নতুবা কনফার্ম টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো দেখা যায় যাত্রার এক মাস আগে টিকিট বুক করলেও ওয়েটিং লিস্টের টিকিটে অথবা আরএসি টিকিট পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশ মানুষই ওয়েটিং টিকিট নিয়ে যাত্রার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকেন। আর তাই আজ আমরা কিভাবে ওই দিন টিকিটের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে যাত্রা করা যায় তা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
জনসাধারণের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে, ওয়েটিং টিকিটের মাধ্যমে সুরক্ষিতভাবে যাত্রা করার ক্ষেত্রে আপনাকে টিকিট কাউন্টার থেকে একটি রিজার্ভেশন টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। শুধুমাত্র একটি ওয়েটিং টিকিটের মাধ্যমেই কিন্তু নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। তবে আপনার কাছে যদি শুধুমাত্র ওয়েটিং টিকিট থেকে থাকে, তাহলে আপনি ওই টিকিট সহ ট্রেনের টিটিই -এর কাছে গিয়ে একটি সিট দেওয়ার আবেদন জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি ট্রেনের সিট খালি থাকে তবে টিটিই আপনাকে উক্ত সিটটি দিতে পারেন, যদিও চার্ট তৈরি হওয়ার পরই ওয়েটিং টিকিট রয়েছে এরূপ যাত্রীদের সিট বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। চার্ট তৈরি হওয়ার পর খালি সিট পাওয়া গেলে আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে বুকিং করে থাকেন তবে সিটের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন:- আপনার আইফোনটি আসল নাকি নকল, কয়েক মিনিটে জেনে নিন।
আপনি যদি এই সমস্যা এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে যাত্রা করতে চান তবে তৎকাল টিকিট কাটাই শ্রেয়। ভারতীয় রেলের তরফে নির্ধারিত সময়সীমা অনুসারে, স্লিপার ক্লাসের জন্য তৎকাল টিকিট কাটার সময়সীমা শুরু হয় সকাল ১১ টা থেকে, অন্যদিকে এসি সিটের জন্য তৎকাল টিকিট কাটার সময় শুরু হয় সকাল ১০ টা থেকে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে তৎকাল টিকিট কাটতে পারেন, এছাড়াও আপনি রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকেও তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন। তবে যেকোনো দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করার জন্য যদি তৎকাল টিকিট সংগ্রহ করতে চান তবে রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে তৎকাল থেকে সংগ্রহ করাই শ্রেয়।
দুর্গাপূজার সময় ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং ভারতের বাইরে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়িতে ফেরেন। আবার এই সময়টা করেই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্রমণে গিয়ে থাকেন, আর তাতেই দূরপাল্লার ট্রেনের কনফার্ম টিকিট নিয়ে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। এই সময়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে দার্জিলিং, কেরালার মত বিশিষ্ট পর্যটন ক্ষেত্রগুলির টিকিট পাওয়াও মুশকিল হয়ে ওঠে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় ট্রেনের টিকিট না পাওয়ার কারণে কারোর বাড়ি ফেরার প্ল্যান আবার কারোর ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ভেস্তে যায়। সুতরাং আপনি যদি পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার কিংবা বাড়ি ফেরার প্ল্যান করে থাকেন তবে নির্ধারিত সময়ের অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস আগে টিকিট বুক করুন, আর যদি তা না হয় তবে তৎকাল টিকিট কিংবা ওয়েটিং টিকিটের মাধ্যমেও নিশ্চিন্তে সুরক্ষিতভাবে যাত্রা করতে পারবেন।