বর্তমান সময়ে সমগ্র ভারতের নাগরিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং UIDAI -এর তরফে কার্যকরী আধার কার্ড যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রকার সরকারি ও বেসরকারি কাজগুলি সম্পন্ন করার জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর তাতে আধার কার্ড আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য UIDAI -এর তরফে বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আর ১০ বছর অন্তর অন্তর আধার কার্ড আপডেট করার পদক্ষেপটিও UIDAI -এর তরফে কার্যকরী এমনই এক বিশেষ পদক্ষেপ। তবে UIDAI -এর পক্ষ থেকে কার্যকরী এই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে যে প্রশ্নটি রয়েই যায় তা হল, ১০ বছর অন্তর অন্তর আধার কার্ড আপডেট করা বাধ্যতামূলক কেন? আর তাই আজকের এই পোস্টে এই বিশেষ প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আলোচনা করা হবে।
বিগত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে UIDAI -এর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নির্দেশিকা মারফত সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে ১০ বছর অন্তর অন্তর আধার আপডেট করার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। UIDAI -এর তরফে প্রকাশিত তথ্যে আরো জানানো হয়েছিল যে, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় নাগরিকদের ঠিকানা পরিবর্তিত হয়, এমনকি বিভিন্ন প্রকার অসতর্কতার কারণে নাগরিকদের আধার কার্ডের নাম, জন্ম তারিখ এবং জেন্ডার সংক্রান্ত তথ্যও ভুল থেকে যায়। যার ফলে ভারতের সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সমস্যা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের নয়, আধার কার্ডের তথ্য আপডেট না করা হলে সরকারের নথিতেও বিভিন্ন প্রকার ভুল তথ্য রয়ে যায়।
আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সমগ্র ভারতের আধার কার্ডধারী নাগরিকদের সমস্ত প্রকার সঠিক তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য এই বিশেষ প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, আধার কার্ড আপডেট করা হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য প্রমাণীকরণ এবং আরও ভাল পরিষেবা পাওয়া সম্ভব। UIDAI -এর তরফে জারি করা নিয়ম অনুসারে আরো জানানো হয়েছিল যে, যেকোনো ব্যক্তির আধার কার্ডের বয়স ১০ বছরের বেশি হয়ে গেলে তা আপডেট করা বাধ্যতামূলক নতুবা উক্ত ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আধার কার্ডের বয়স ১০ বছর হয়ে গেলে তা যদি আপডেট না করা হয় তবে সাধারণ নাগরিকরা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরিচালিত ১,১০০ টিরও বেশি সরকারি স্কিমের সুবিধা পাবেন না।
আরও পড়ুন:- হাতে তৈরি গয়নার ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে উপার্জন করে নিন ভালো পরিমাণ টাকা।
অন্যদিকে আধার কার্ড বাতিল করা হলে, ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি-র মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে নানাবিধ পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ভারতীয় নাগরিকদের বিভিন্নভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং আধার কার্ড আপডেট না করা হলে আধার কার্ড বাতিলের সম্ভাবনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়ে যায়। আর তাই প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর আধার কার্ড আপডেট করা বাধ্যতামূলক। মূলত, আধার কার্ড আপডেট করা হলে নাগরিকদের সমস্ত সঠিক তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা হবে, যার ফলে নানাবিধ সরকারি কাজে অনিচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি এবং ভুল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যক্তিত্বদের তরফে।
আধার আপডেট করবেন কিভাবে?
UIDAI -এর তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আধার আপডেট করা যাবে। সুতরাং আপনার আধার কার্ডটিও যদি ১০ বছরের বেশি পুরনো হয়ে থাকে, তবে আপনি বাড়িতেই বসে নিজস্ব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আধার কার্ডটি আপডেট করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে UIDAI -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://uidai.gov.in/ এর মাধ্যমে আপনারা আধার আপডেটের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি আপনার বাড়ির নিকটবর্তী আধার সেবা কেন্দ্র থেকেও আধার আপডেটের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। যদিও আধার সেবা কেন্দ্র থেকে আধার আপডেটের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ৫০ টাকা ফি জমা করতে হবে।